তালিকাভুক্ত-অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হারে ব্যবধান আরও বাড়ানো উচিত

তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট কর হারের ব্যবধান ন্যূনতম ১০ শতাংশ করার পাশাপাশি নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে কয়েক বছরের জন্য কর অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া দরকার। সেটি হলে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তিতে আগ্রহ বাড়বে বিভিন্ন কোম্পানির।

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে আয়োজিত এক প্রাক্‌-বাজেট সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। সম্প্রতি সিএসইর চট্টগ্রাম কার্যালয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন দাবিদাওয়া তুলে ধরেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম।

সিএসইর পক্ষ থেকে আরও যেসব দাবি তুলে ধরা হয়, তার মধ্যে রয়েছে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়াতে পদক্ষেপ গ্রহণ। এ জন্য লভ্যাংশের ওপর দ্বৈত কর প্রত্যাহারের পাশাপাশি মূলধনি মুনাফা বা ক্যাপিটাল গেইনের ওপর থেকে কর প্রত্যাহার, মিউচুয়াল ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডের (ইটিএফ) বিনিয়োগের ওপর কর রেয়াত সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব।

শেয়ারবাজারে পণ্যবৈচিত্র্য বাড়াতে অলটারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড ও স্বল্প মূলধনি কোম্পানির জন্য গঠিত বোর্ডে তালিকাভুক্তি উৎসাহিত করতে দুই-তিন বছরের জন্য কর অব্যাহতি প্রদান, স্টক এক্সচেঞ্জের প্রয়োজনে যেসব হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় তার ওপর থেকে সব ধরনের কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছে সিএসই। এ ছাড়া আগামী বাজেটে কমোডিটি এক্সচেঞ্জকে পাঁচ বছরের জন্য কর অব্যাহতি প্রদানেরও দাবি করেছে সংস্থাটি।

কথা হচ্ছে সকলে সব দাবি মানতে হবে এমনটি নয়, তবে যৌক্তি দাবিগুলো বিবেচনা করা যেতে পারে। বর্তমান পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে হলে বাজেটের ভূমিকা দরকার। সে ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত-অতালিকাভূক্ত কোম্পানির কর হারে আরও ব্যবধান থাকা উচিত।

Tagged