এসএমজে স্বাস্থ্যডেস্ক:
শীতের শেষ ও বসন্তের শুরু। এই সময় আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে বেশ প্রভাব পড়ে মানবদেহে। ছোট থেকে বড় সবাই কম বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই এই সময় খাদ্যতালিকায় বেল রাখতে পারেন।
বেল একটি পুষ্টিকর আর উপকারী ফল।কাচা পাকা দুটোই সমানভাবে উপকারী। পাকা বেলের শরবত সুস্বাদু। বেল পেটের নানা রকম রোগ সারাতে জাদুর মতো কাজ করে। প্রতিদিন বেলের শরবত পান করলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়।বেলকে বলা হয় শ্রীফল কারণ হিন্দুদের পুজা-অর্চনায় বেলের পাতা ও ফল ব্যবহার করা হয়।
পুষ্টি উপাদান: প্রতি ১০০ গ্রাম বেলে রয়েছে ক্যারোটিন ৫৫ মিলিগ্রাম, থায়ামিন ০.১৩ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লোভিন ১.১৯ মিলিগ্রাম, এসকরবিক এসিড ৮.৬ মিলিগ্রাম, আয়রন ৩.২৫ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন ১.১ মিলিগ্রাম, টারটানিক এসিড ২.১১ মিলিগ্রাম, প্রোটিন ১.৮-২.২৬ গ্রাম, জলীয় অংশ ৫৪.৯৬-৬১.৫ গ্রাম, স্নেহ পদার্থ ০.২-০.৩৯ গ্রাম, শর্করা ২৮.১১-৩১.৮ গ্রাম, এছাড়াও শ্বেতসার, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ক্যালসিয়াম ও লৌহ রয়েছে।
বেলের উপকারিতা: জেনে নেই পুষ্টিগুণে ভরপুর বেলের নিশ্চিত উপকারিতা সম্পর্কে-
কোষ্ঠকাঠিন্য: কোষ্ঠকাঠিন্যতা কমাতে বেলের কার্যকারিতা সম্পর্কে কম বেশি সবারই জানা।বেল পেট পরিস্কার রাখে, নিয়মিত টানা ৩ মাস যদি বেল খান তাহলে আপনি সহজেই মুক্তি পেতে পারেন এই সমস্যা থেকে।
ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস কমায় বেল। পাকা বেলে থাকা মেথানল নামের একটি উপাদান, যা ব্লাড সুগার কমাতে অনবদ্য কাজ করে। সাম্প্রতিক গবেষণায় এটি ধরা পড়েছে। তবে এক্ষেত্রে শরবত করে নয়, বেল খেতে হবে এমনিই।
আলসার: পাকা বেলের শাঁসে যে ফাইবার আছে তা আলসার উপশমে খুবই কার্যকরী।এছাড়া বেলের পাতা সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন খেলেও অনেকংশে কমে আলসার।
আমাশয়: আমাশয় হলে কিন্তু আমাদের যন্ত্রণার শেষ নেই। নাভির কাছে চিনচিনে ব্যথা, টক বমি সব মিলে খুব বাজে ব্যাপার। আমাশয়ে উপকার করে বেল। আধাপাকা সিদ্ধফল আমাশয়ে অধিক কার্যকরী । বেলের শরবত হজম শক্তি বাড়ায় এবং বলবর্ধক ।
লিভার: লিভার সমস্যার প্রতিকার এর ব্যাপারে সবার আগে যেটা মনে পরে সেটা হল বেল। বিটা ক্যারোটিনের সমৃদ্ধ উৎস এই ফল। আর বিটা ক্যারোটিন হল লিভার ভালো রাখার অন্যতম মূল চাবিকাঠি। তাই লিভার ভালো রাখতে রোজ বেল খাওয়ার অভ্যাস করা যেতেই পারে।