পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২২টি কোম্পানির ৬১ জন পরিচালকে আলটিমেটাম দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)। আইন অমান্য করে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির দুই শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে ব্যর্থ হওয়ার তাদেরকে এই আল্টিমেটাম দেয়া হয়। আমরা মনে করি, এই পদক্ষেপ খুবই যথার্থ এবং সময়োচিত। এটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘ দিনের দাবিও। আমরাও অনেকদিন ধরে এর পক্ষে লিখে আসছি। আমরা এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানাই। একই সঙ্গে আশা করবো এটি যেনো দ্রুত কার্যকর হয়।
ওইসব কোম্পানির পরিচালকরা দিনের পর দিন আইন লঙ্গন করে মন্দা বাজারেও নিজেদের কোটার শেয়ার বিক্রি করে বাজারে পতন ত্বরান্বিত করেছেন। তারা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির মধ্যে ফেলেছেন। এ কারণে তাদের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।
ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার না থাকলে কেউ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালক পদে থাকতে পারবেন না। ২০১১ সালের আইন এটি। কোম্পানির পরিচালকদের ন্যূনতম শেয়ার ধারণ বাধ্যতামূলক করেছিল বিএসইসির সদ্য বিদায়ী এম খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন কমিশন।
আইনটি করার পর সে সময় শোরগোল পড়েছিল পুঁজিবাজারে। আইনটির বিপক্ষে বেশ কিছু পরিচালক উচ্চ আদালতে রিটও করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত উচ্চ আদালতে টিকে গিয়েছিল বিএসইসির সেই আইন। ২০১১ সালে ন্যূনতম শেয়ার ধারণ–সংক্রান্ত যে আইন করা হয়েছিল, সেখানে বলা হয়েছিল তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালক পদে থাকতে হলে ওই কোম্পানির ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার থাকা বাধ্যতামূলক। আর উদ্যোক্তা–পরিচালকদের হাতে সব সময় সম্মিলিতভাবে ওই কোম্পানির ৩০ শতাংশ শেয়ার থাকতে হবে। কিন্তু অনেক পরিচাকই আইনটি মানেননি। এবার আশা করবো তাদের উপযুক্ত শাস্তি হোক।