নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বরিশালের হিজলা উপজেলাধীন গোবিন্দপুরে গত (১১জুন) বৃহস্পতিবার ৩ মাসের গর্ভবতী স্ত্রী মোসাঃ ইসরাত জাহান ইমাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেন তার স্বামী মোঃ মহসিন রেজা। হত্যার প্রতিবাদে ২৭ জুন, শনিবার সকাল ১১ টায় স্থানীয় এলাকাবাসী মানববন্ধন করেন। এসময় নির্মম এই হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি মোঃ মহসিন রেজার ফাঁসির দাবি জানান এলাকাবাসী।
হিজলা উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের মহিষখোলা গ্রামের মোঃ শফিকুল ইসলামের মেয়ে মোসাঃ ইসরাত জাহান ইমাকে তার স্বামী মোঃ মহসিন রেজা উপজেলা সদরের টেকের বাজার তাদের মালিকানাধীন তিনতলা বিশিষ্ট ভবনের তয় তলায় অনুমানিক বিকেল ৪টার দিকে অমানবিক নির্যাতন করে। নির্যতনের পর পাসন্ড মহাসিন তার স্ত্রীকে হত্যার জন্য শরীরে আগুন ধরিয়ে দিলে চিৎকার শুনে নিচ তলার মানুষ ছুটে আসে। কিন্তু তারা আসতে আসতে ইমার পুড়ো শরীর ঝলসে যায়। মহসিন তার শশুরকে ফোন দিয়ে বলে ইমা আর নেই, বলে ফোন কেটে দেয়। পরে লোক জন মিলে হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল পাঠিয়ে দেয়। সেখানের কর্তব্যরত ডাক্তার আশংকা জনক দেখলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনিষ্টিটিউব অব বার্ন ও প্লাষ্টিক সার্জারি হাসপাতেলে রেফার করেন।
ঢাকা শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনিষ্টিটিউব অব বার্ন ও প্লাষ্টিক সার্জারি হাসপাতেলে বেশ কয়েক দিন চিকিৎসা চললেও তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার বলেন ইসরাত জাহান ইমার শরীর প্রায় ১০০ ভাগই পুড়ে গেছে। ইসরাত জাহান ইমা চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকাকালীন সময় তার মা ও চাচতো ভাইয়ের কাছে তার সাথে হওয়া পাশানিক অত্যাচারের বর্ননা দেয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় (১৮জুন) বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে ইসরাত জাহান ইমা শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে। ইমার বাবা বলেন, আমরা বিষয়টি ক্লিয়ার না বুঝেই ময়নাতদন্ত ব্যতিত আমার মেয়েকে আমার বাড়িতে এনে দাফন করি। পরে ১নং সাক্ষী আমার স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম ২ নংসাক্ষী আমার ভাতিজা যেহেতু চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিল তাদের কাছে মেয়ের যে বক্তব্য ও ভিডিও ধারন করা হয়েছে তাতে আমরা বুঝতে পারি আমার মেয়েকে মহসিন হত্যা করেছে তাই আমি বাদী হয়ে (২১জুন) থানায় একটি মামলা দায়ের করি।
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অসীম কুমার সিকদার জানান, আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
এসএমজে/২৪/রা