দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন ঘুরপাক খাচ্ছে কয়েকটি কোম্পানিতে। গত সপ্তাহে ঢাকার বাজারের মোট লেনদেনের ৫০ শতাংশ বা অর্ধেকই ছিল ১০ কোম্পানির।
গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ঢাকার বাজারে মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে মূল বাজারে ১০ কোম্পানিরই লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা। লেনদেন হাতে গোনা কয়েকটি কোম্পানিনির্ভর হয়ে যাওয়ায় সার্বিকভাবে বাজারে ইতিবাচক কোনো প্রভাব পড়ছে না। কারণ, বেশির ভাগ শেয়ারের হাতবদল হচ্ছে না।
বাজারের লেনদেন কয়েক কোম্পানিনির্ভর হওয়ায়, এসব শেয়ারের সঙ্গে বড় বড় কিছু বিনিয়োগকারীর যুক্ততা রয়েছে। এসব বিনিয়োগকারী কৃত্রিমভাবে নিজেদের মধ্যে শেয়ারের হাতবদল করে লেনদেন বাড়িয়ে দেখাচ্ছে। এতে বাজারেও লেনদেন বাড়ছে। তবে তার সুফল সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পাচ্ছেন না।
গত সপ্তাহে ৩৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের হাতবদল হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৪২টির। দাম কমেছে ১৩৮টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২০০টির। বেশির ভাগ শেয়ারের দামে কোনো হেরফের না হলেও ঢাকার বাজারে গত সপ্তাহ শেষে লেনদেন আগের সপ্তাহের চেয়ে ৪০৪ কোটি টাকা বা প্রায় সোয়া ১৪ শতাংশ বেড়েছে। তাতে দৈনিক গড় লেনদেনও বেড়েছে। গত সপ্তাহ শেষে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬৪৯ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৫৬৮ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারে বেশ কিছুদিন ধরে যে মন্দাভাব চলেছে, সেই ধারা থেকে বাজার বের হতে পারছে না। এ কারণে লেনদেন কিছু কোম্পানিতে কেন্দ্রীভূত হয়ে গেছে। যেসব কোম্পানিতে কারসাজি কারকসহ বড় বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ রয়েছে লেনদেনে সেসব কোম্পানিরই আধিপত্য দেখা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি সার্বিকভাবে বাজারের জন্য মঙ্গলজনক নয়।