করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দেশে নানা রকম বিধিনিষেধ জারি করে আসছে সরকার। গতকালও কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এর আগেও বিধিনিষেধ ছিলো। কথা হচ্ছে পুঁজিবাজার নিয়ে এ সময় নানা ধরনের ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়। এটি কাম্য নয়। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। আতঙ্কের কারণে পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগেই কর্তৃপক্ষ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে পরিচ্ছন্ন বক্তব্য আসা উচিত। এছাড়া একটি বিষয় গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত, বর্তামানে প্রযুক্তির যুগে করোনা সংক্রমণ এড়ানোর জন্য পুঁজিবাজার বন্ধ রাখতে হবে কেনো? স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুঁজিবাজার চালু থাকলে কোনো ক্ষতি আছে বলে মনে হয় না।
করোনার প্রাদুর্ভাব রোধে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। পাশাপাশি বিয়ের অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি লোক সমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। অর্ধেক লোকবল নিয়ে অফিস-আদালত খোলা থাকবে, ব্যাংকের লেনদেনও অবশ্যই চালু থাকবে। আর ব্যাংকের লেনদেন চালু থাকলে পুঁজিবাজার চালু রাখা নিয়ে কোনো ধরনের শংসয় তৈরি হওয়ার সুযোগ নেই।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, শেয়ারবাজার খোলা থাকা না-থাকা নির্ভর করে ব্যাংকের ওপর। সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধে যদি ব্যাংক খোলা থাকে, তাহলে শেয়ারবাজারও খোলা থাকবে। শেয়ারবাজারের লেনদেন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই।
আমরা মনে করি, পুঁজিবাজার চালু রাখাই উত্তম। কারণ এর সংঙ্গে সংক্রমণ এড়ানোর জন্য কিছু বিষয়ে জোর দেওয়ার থাকলে অসুবিধা নেই।