দেশের পুজিবাজারে টানা নয় কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গতকাল রোববার দরপতন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকয়টি মূল্যসূচক কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। পাশাপাশি দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে দ্বিগুণের বেশি প্রতিষ্ঠান। তবে যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, সেটি হচ্ছে যদি স্বাভাবিক সংশোধন হয় তা হলে বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
এদিন পতনের বাজারে ছিল ক্রেতা সংকটও। এতে বড় হয়েছে ফ্লোর প্রাইসে আটকানো প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। নতুন করে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম ফ্লোর প্রাইসে এসে ঠেকেছে। একই সঙ্গে ফ্লোর প্রাইসের ওপরে থাকা চারটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম একদিনে যতটা কমা সম্ভব ততটাই কমেছে।
ঈদের আগে ও পরে মিলিয়ে টানা নয় কার্যদিবস মূল্যসূচক বাড়ে। একই সঙ্গে বাড়ে লেনদেনের গতি। গত বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন হয়। এর পরেই বাজারে এই দরপতন দেখা গেলো। তবে এই দরপতনকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখা যেতে পারে।
টানা নয় কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার কারণে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়ে গেছে। এতে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এর ফলে বাজারে বিক্রির চাপ আসে। এই বিক্রির চাপের কারণেই দরপতন হয়েছে। এটি স্বাভাবিক দরপতন বলেই মনে হচ্ছে।