পুঁজিবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হলে পালানোর পথও খুঁজে পাবে না অনিয়মকারীরা। যারা অনিয়ম করে তাদের নৈতিক জোর থাকে না। কেবল সুশাসনের অভাবকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির লোক অনিয়ম করে বেড়ায়। এ কারণে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সুশাসন প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে কঠোর হোক।
বর্তমান নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর পুঁজিবাজারে এক ধরনের প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন এবার বোধ হয় কিছু একটা হবে। যার জন্য দীর্ঘ প্রায় এক দশক ধরে অপেক্ষায় আছেন বিনিয়োগকারীরা। আইনি বাধ্যবাধকতার মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো চলুক। বিশেষ করে কোম্পানির পরিচালকদের সম্মিলিত শেয়ার ধারণ নিশ্চিত হোক। একই সঙ্গে কোম্পানিগুলোর মধ্যে জবাবদিহিতার বিষয়টি শক্ত করে দেখার বিষয় আছে। কারণ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের টাকা নিয়ে কেউ যাতে কোনো ধরনের ছল করার সুযোগ না পায়, সেটি নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। অনেক দেশেই পুঁজিবাজারে এমন সুশাসন রয়েছে। সুতরাং এটি অবাস্তব কিছু নয়। আমরা গত প্রায় দশ বছর ধরে পুঁজিবাজারে অনেক ধরনের ঢিলেমি ও খামখেয়ালি দেখেছি। এগুলোর এখন অবসান হোক এবং বাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হোক।