বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে লকডাউন শিথিল করা বা কোথাও কোথাও তুলে নেওয়া হলে স্বাস্থ্যগত দিকে যে বাড়তি ঝুঁকির পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। মনে রাখতে হবে, কোনো পরিস্থিতিতেই সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে কোনো রকমের শিথিলতার সুযোগ নেই। এতে বিপদ আরও বাড়তে পারে।
সবকিছু খুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে মানুষের কাছে যেন এই বার্তা না যায় যে বিপদ কেটে গেছে। বরংএখন প্রতিটি মানুষকে নিজের সুরক্ষার বিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে। সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে নিজ থেকেই।
আমাদের দেশে এখনো বিপুলসংখ্যক মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। ভাইরাসটির সংক্রমণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণার অভাবে অনেক মানুষ সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারে না। তাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচারণার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
সংক্রমণমুক্ত থাকার জন্য অবশ্যই প্রতিনিয়ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। ব্যক্তিগত ও সামাজিক পর্যায়ের সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতার ওপর গুরুত্ব আরোপ অব্যাহত রাখা খুবই প্রয়োজন। না হলে পরুস্থিতি বেসামাল হয় পড়তে পার।