স্বাধীনতার পাঁচ দশকে আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় শিক্ষা হচ্ছে, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের প্রতি আস্থা রাখা এবং কতিপয় কুচক্রী মহলকে প্রতিহত করা। এই কাজটিই করতে সক্ষম হয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এর ধারাবাহিকতায়ই এসেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। মানুষের শক্তিতে আস্থা না রাখতে পারলে কোনো জাতির অগ্রগতি সম্ভম নয়। কারণ কতিপয় ব্যক্তি বা গোষ্ঠী একটি জাতির বুনিয়াদ নির্মাণ করতে পারে না। বাংলাদেশের আজকে যতটুকু অর্জন, তার সবটাই দেশের সংখাগরিষ্ঠ মানুষের। সেভাবে আমরা যদি দেশের পুঁজিবাজারের কথা ভাবি তা হলে দেখবো, এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ অর্থাৎ সাধারণ ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীই হচ্ছে মূল কথা। তাদের স্বার্থ বাদ দিয়ে কিংবা তাদেরকে বঞ্চিত করে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
আমরা বছরের পর বছর লক্ষ্য করছি, কতিপয় মহল নানাভাবে কারসাজি কিংবা অনিয়ম করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বঞ্চিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এটি কোনো মতেই কাম্য হতে পারে না। একটি গণতান্ত্রিক, স্বাধীন দেশে এ ধরনের কাজ বছরের পর বছর চলতে পারে না। কিন্তু আমরা দেখছি এর উল্টো চিত্র। তাই যারা পুঁজিবাজারের নীতিনির্ধারক তাদের প্রতি আমাদের অনুরোধ, আপনারা দেশের স্বার্থে এবং পুঁজিবাজারের স্বার্থে বিষয়গুলো নিয়ে ভাবুন। তা হলে পুঁজিবাজার একদিন উন্নতির শিখরে পৌঁছুবে বলে আমাদের বিশ্বাস।