নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই অপরিচিত ব্যক্তির সম্পৃক্ততা পেয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)।
গত (২ মার্চ) এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের বিষয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে র্যাব ওই প্রতিবেদন দাখিল করে। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের অতিরিক্ত ডিআইজি খন্দকার শফিকুল আলম হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুইজন অপরিচিত পুরুষ জড়িত ছিলেন। সাগরের হাতে বাঁধা চাদর এবং রুনির টি-শার্টে ওই দুইজনের ডিএনএ’র প্রমাণ পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই মামলায় তানভীরের অবস্থা রহস্যজনক। এই মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি (বিচারিক আদালতে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে) দেওয়া যুক্তিযুক্ত হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো ডিএনএ নমুনার সঙ্গে অপরিচিত দুই ব্যক্তির ডিএনএ’র মিল পাওয়া গেছে।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জৈষ্ঠ্য প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। প্রথমে মামলাটির তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার একজন কর্মকর্তা। ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত ভার পড়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলমের ওপর।
দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব)।
এসএমজে/২৪/রা