সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে অর্থের ঘাটতির কারণে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত আরও দুই ব্রোকারেজ হাউসের সব পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহীর ব্যাংক এবং বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি এসব ব্যক্তির বিদেশযাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানাই। একই সঙ্গে মনে করি এখন সময় এসেছে অনিয়ম করা ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে ধরার।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিএসইসির কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যে দুটি ব্রোকারেজ হাউসের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো ধানমন্ডি সিকিউরিটিজ ও পিএফআই সিকিউরিটিজ। এর আগে গত ২৯ আগস্ট গ্রাহক হিসাবে অর্থ ও সিকিউরিটিজ ঘাটতির কারণে মশিউর সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে একই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
গ্রাহক হিসাবে ঘাটতি পূরণের জন্য ধানমন্ডি ও পিএফআই সিকিউরিটিজ সময় বাড়ানোর আবেদন করে। কিন্তু কমিশন প্রতিষ্ঠান দুটির এই আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ব্রোকারেজ হাউস দুটির সব পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহীর ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন বন্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বা বিএফআইইউকে চিঠি দেওয়া হবে। এ ছাড়া এসব ব্যক্তির বিও হিসাব জব্দে বিও হিসাব সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড বা সিডিবিএলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ব্রোকারেজ হাউস দুটি পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা সিইওরা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন, এ জন্য পুলিশের বিশেষ শাখাকে অনুরোধ জানানো হবে বলে জানিয়েছে বিএসইসি। এটি খুবই সঠিক সিদ্ধান্ত। বাকি অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হোক।