পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে এসে আর কোনো বিনিয়োগকারী যাতে এই বাজার থেকে নিঃস্ব হয়ে ফেরত না যান, সে জন্য বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় বড় ধরনের কাঠামোগত সংস্কার করতে দরকার। নতুন কোম্পানির তালিকাভুক্তি থেকে শুরু করে কোম্পানি তালিকাচ্যুত করা, কারসাজির ঘটনায় জরিমানা, আইন ও নীতি সংস্কার—এসব কিছু করতে হবে বিনিয়োগকারীর সর্বোচ্চ সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে।
গত ১৫-২০ বছরে খারাপ কোম্পানির তালিকাভুক্তি, মিউচুয়াল ফান্ডের অনিয়ম, কারসাজির মাধ্যমে শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, ফ্লোর প্রাইস আরোপ, কিছু ব্রোকারেজ হাউসের অর্থ আত্মসাৎ, ভুয়া আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহসহ নানা অনিয়মে ঘুরেফিরে বিনিয়োগকারীরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ভবিষ্যতে যাতে এসব ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সব সংস্কার ও নীতি প্রণয়নে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষাকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন। যাতে বিনিয়োগকারীরা সবার আগে সুরক্ষা পান। সেটি অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
বিনিয়োগকারীবান্ধব ও শক্তিশালী পুঁজিবাজার গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি ব্রোকারেজ হাউস, তালিকাভুক্ত কোম্পানি, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিসহ বাজারসংশ্লিষ্ট কারও পদক্ষেপে যেন বিনিয়োগকারীরা বড় ক্ষতির মুখে না পড়েন, সেটি নিশ্চিত করা জরুরি।