অর্পিত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি নিশ্চিত হওয়া চাই সবার আগে। এক্ষেত্রে যদি গাফিলতি থাকে তাহলে সামনে এগোনো যায় না। বাংলাদেশের বর্তমানে প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন ক্ষেত্রে জবাবদিহিতার অভাব প্রকট।
দীর্ঘদিন ধরেই তারল্যসংকট চলছে দেশের পুঁজিবাজারে। কমে গেছে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগ। পতনে প্রতিষ্ঠানগুলোর কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগের বিপরীতে কেবলই লোকসান গুনতে হচ্ছে। কমছে শেয়ারের দাম আর বাড়ছে লোকসানের পরিমাণ। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন করে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছে না। ফলশ্রুতিতে পুঁজিবাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে না।
এই অবস্থায় সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানগুলো কি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে? এই প্রশ্ন এখন পুঁজিবাজার সংশ্লষ্ট প্রায় সকলের। অনেকেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা যথাযথ দায়িত্ব পালনের করলে পুঁজিবাজারের সংকট এতো দীর্ঘ হতো না। এই ধারণার সঠিক-বেঠিক নির্ণয় করে বিষয়টি পরিস্কার করার দায়িত্বও সংশ্লিষ্ট সংস্থারগুলোর। এখন কথা হচ্ছে তারা সে দায় অনুভব করে কিনা। তাদের জবাবদিহিতার বিষয় এখানে রয়েছে কিনা। কারণ জবাবদিহিতা না থাকলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে একটি বিশ্বাসযোগ্য অবস্থায় নিতে হলে সংশ্লিষ্টদের জবাবিদিহতা এড়ানো সুযোগ নেই। এর মধ্য দিয়েই একটি টেকসই পুঁজিবাজার পাওয়া সম্ভব হতে পারে। তা না হলে পুঁজিবাজার নিয়ে মানুষের হতাশা বাড়তেই থাকবে।