একটি স্বাধীন, গণতান্ত্রিক দেশে অর্থনীতি হবে জনহিতকর। সেই অর্থনীতির জন্যই নিবেদিত থাকবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো- এটি স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু আমাদের দেশে অনেক স্বাভাবিক বিষয়ই অস্বাভাবিক হয়ে উঠে প্রতিষ্ঠানের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে। এ ধরনের জটিলা প্রায়ই দেখা যায় আমাদের দেশের পুঁজিবাজারে। এখানে অনেক ভালো উদ্যোগ ভেস্তে যায় প্রাতিষ্ঠানিক অযোগ্যতা ও অদক্ষতার কারণে। এমন পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হলে সঠিক ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠবে। তখন পুঁজিবাজারও স্থিতিশীল রাখা অসম্ভব নয়।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং স্টক এক্সচেঞ্জসহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানে যদি সঠিক ব্যবস্থাপনা থাকে তখন একটি আদর্শ বিনিয়োগ ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে পুঁজিবাজার। এর জন্য অবশ্যই সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রয়োজন প্রতিষ্ঠানগুলোয়। বর্তমান সময়ে সৎ ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই একটি শক্তিশালী ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠতে পারে। যা কিনা জাতির জন্য মঙ্গলজনক হবে। তাই প্রতিষ্ঠানগুলোয় লোকবল নিয়োগ দেয়ার আগে তাদের সততা যোগ্যতার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো প্রকার স্বজনপ্রীতির সুযোগ নেই। স্বজনপ্রীতি আর দুর্নীতি হাত ধরে চলে। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই পুঁজিবাজার ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজানো উচিত।