বিশ্বব্যাপি করোনায় মৃত্যু প্রায় সোয়লাখ। আমাদের দেশে কী পরিমাণ মানুষ করোনা আক্রান্ত, এটি অনুমান করা এখনও সহজ নয়। কারণ আমাদের পরীক্ষা করার সামর্থ্য সীমিত। সৃতরাং শানক্ত করার প্রক্রিয়া ধীর। এই অবস্থায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই গুরুত্ব সব শ্রেণির মানুষ বুঝতে পেরেছে বলে মনে হয় না। এক্ষেত্রে গণঐক্য গড়ে তোলা জরুরি ছিল। এটি হয়নি।
সংকটের শুরু থেকেই মানৃষের মধ্যে একটা ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ করা গেছে। এটি খুবই হতাশাজনক। আমাদের চেয়ে সক্ষমতায় এগিয়ে থাকা অনেক দেশ ভাইরাস সামাল দিতে পারছে না। আমাদের সক্ষমতা সীমিত। লোক সংখ্যা বেশি। ঘনবসতি। তাই দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে বিষয়টি মোকাবিলা করতে হবে। ইতালি কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের মতো মৃত্যুহার না হলেও আমরা আশঙ্কামুক্ত নই। বড় ধরনের স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলা করার মতো আমাদের সক্ষমতা নেই। এছাড়া বিষয়টি শুধু স্বাস্থ্যগত জায়গায় নেই। সামগ্রিক রূপ ধারণ করেছে। লকডাউন আমরা কতদিন করতে পারবো, এ বিষয়েও জটিলতা রয়েছে। আমাদের সামাজিক অর্থনৈতিক কাঠামো এক্ষেত্রে কতটা চাপ নিতে পারবে সেটিও দেখার বিষয়। সুতরাং সবগুলো বিষয় হিসেবে নিয়েই বলা যায় এ মুহূর্তে দেশবাসীর ঐক্যবদ্ধ হওয়াই ভরসার জায়গা হতে পারে।