এসএমজে ডেস্ক
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বুধবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শুরুর প্রথম তিন ঘণ্টায় সবকটি মূল্যসূচক ছিল ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু শেষ ঘণ্টার লেনদেনে এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা বিক্রির চাপ বাড়ালে সবকটি মূল্যসূচকের পতন দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে দিনশেষে বেড়েছে মোট লেনদেনের পরিমাণ।
ডিএসইতে মূল্যসূচকের পতন হলেও অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। বেড়েছে মোট লেনদেনের পরিমাণও।
ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে মিলিয়ে টানা ৯ কার্যদিবস সূচক বাড়ার পর গত রোববার শেয়ারবাজারে কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়। পরের কার্যদিবস মঙ্গলবার আবার ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরে শেয়ারবাজার।
এ পরিস্থিতিতে বুধবার পুঁবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের প্রথম তিন ঘণ্টাজুড়ে সূচকের এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকে।
কিন্তু শেষ ঘণ্টার লেনদেনে এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ায়। এতে দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দরপতনের তালিকায় চলে আসে। ফলে একদিকে দরপতনের তালিকা দীর্ঘ হয়, অন্যদিকে ঋণাত্মক হয়ে পড়ে সবকটি মূল্যসূচক।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৬৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৭টির এবং ২১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় থাকা চারটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়েছে। অন্যদিকে দাম কমে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান নতুন করে ফ্লোর প্রাইসে চলে এসেছে। এতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৬৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৩৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২০৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮৬৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৮৫১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১১ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার। কোম্পানিটির ৫৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনিক হোটেলের ৩৫ কোটি ৬ লাখ টাকা এবং ৩১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- নাভানা ফার্মা, লাফার্হহোলসিম বাংলাদেশ, রূপালী লাইফ, জেমিনি সি ফুড, জেনেক্স ইনফোসিস, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন এবং আমরা নেটওয়ার্ক।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ১৯০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৭টির এবং ১০৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মোট লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।