স্পোর্টস ডেস্ক:
সামনেই আমাদের পাকিস্তান সফর আছে। কিন্তু সেই সফরে যাবে না বলে জানিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তাই আমরা মুশফিককে ডেকেছিলাম, ওর সিদ্ধান্ত জানার জন্য। যে ও পাকিস্তানে যাবে কি না, নিজের সিদ্ধান্ত বদলাবে কি না। ও সরাসরি বলে দিয়েছে যাবে না। তো এখানেই এটা শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন না গেলে টেস্টের জন্য, ওয়ানডের জন্য আমাদের অন্যভাবে চিন্তা করতে হবে, কথাগুলো বলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডের জন্য দলে কোনো বদল আনছেন না নির্বাচকরা। প্রথম দুই ওয়ানডের জন্য ঘোষিত দলটিই থাকছে তৃতীয় ম্যাচেও। তবে একাদশে আসতে পারে অদলবদল। মিনহাজুল আবেদিন জানালেন, পাকিস্তান সফরে যারা থাকছেন তাদেরই সুযোগ দেওয়া হবে শেষ ম্যাচে। সেক্ষেত্রে মুশফিকুর রহিমের সিরিজ শেষ হচ্ছে দ্বিতীয় ওয়ানডে দিয়েই।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচের জন্য দেওয়া হয়েছিল ১৫ জনের দল। মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলার মধ্যবিরতিতে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন ও হাবিবুল বাশার।
আগামীর কথা ভেবে তৃতীয় ম্যাচের স্কোয়াডে কি আসবে বদল? মিনহাজুল জানালেন, সেটার দরকার নেই, বরং মাসখানেক পর এপ্রিল মাসে পাকিস্তানে একটা ওয়ানডে মাথায় রেখে একাদশে অদলবদলের চিন্তা তাদের, ‘নতুন সুযোগ নয়। আমরা টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বসে পরিকল্পনা করেছি। তাই জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সিরিজটা যদি ২-০ হয়ে যায়, তাহলে শেষ ম্যাচের জন্য পাকিস্তানে যে দলটা খেলবে, সেই এগারোজনকে খেলার চিন্তাভাবনা করছি।’
মুশফিকের পাকিস্তান যাওয়া, না যাওয়া নিয়ে বেশ কদিন থেকেই ছিল ধূম্রজাল। নির্বাচকরা জানালেন সেই ধোঁয়াশাও দূর করেছেন তারা। মুশফিককে আরও একবার তার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানে যাবে না বলে জানান মুশফিক।
পাকিস্তান না গেলে মুশফিককে বাদ দেওয়া হবে, এমন খবর বেরিয়েছিল কয়েকটি গণমাধ্যমে। প্রধান নির্বাচক অমন খবর একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন, ‘যেসব নিউজের কথা বলছেন, আমরাও দেখেছি। এটা ঠিক না। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ওকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে যাবে কি না। টিম ম্যানেজমেন্ট ও আমরা একসাথে বসেছিলাম, হেড কোচও ছিল। ও সরাসরি বলেছে যে যাবে না।’
পাকিস্তানে তিন দফা সিরিজে একবারও যেতে চান না বলে শুরুতেই পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন মুশফিক। তাহলে তাকে কেন আবার জিজ্ঞেস করা? প্রধান নির্বাচক জানালেন কয়েকটি পত্রিকাতেই বিভিন্ন রকম খবর পড়ে বিভ্রান্তি এড়াতে মুশফিকের সঙ্গে বসেছিলেন তারা, ‘আমরা টেস্ট ম্যাচের পরও ও যাবে কি না এধরনের কিছু নিউজ দেখেছিলাম। যেখানে এক পত্রিকায় ছিল যে ও যাবে, আরেকটায় দেখলাম যাবে না। এজন্য ওকে আনুষ্ঠানিকভাবে জিজ্ঞেস করলাম যে ও যাবে কি না, সিদ্ধান্ত বদল করে কি না। তো সবশেষ বলে দিয়েছে যে, ও যাবে না।’
৬ মার্চ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। এরপর আছে দুই ম্যাচের টি২০ সিরিজ। বাংলাদেশ দল পাকিস্তানে খেলতে যাবে এপ্রিল মাসে। ৩ এপ্রিল করাচিতে একমাত্র ওয়ানডে খেলার পর ৫ এপ্রিল থেকে একই ভেনু্যতে টেস্ট ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
এসএমজে/২৪/রা