শিল্পে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পুঁজিবাজারের বিকল্প নেই। কেবল ব্যাংনির্ভর বিনিয়োগের মাধ্যমে একটি দেশের শিল্পখাত বিকশিত হতে পারে না। এ কারণে পুঁজিবাজারকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারাটা খুবই জরুরি বিষয়। উন্নতবিশ্বের দিকে তাকালেও আমরা এমন নজির দেখতে পাবো। তাই আমরা আশা করি এক্ষেত্রে দেশে যারা কর্তা ব্যক্তি রয়েছেন, তারা বিষয়টি আন্তরিকভাবে চিন্তা করবেন।
পুঁজিবাজারে তারল্য সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরই অংশ হিসেবে ব্রোকারেজ হাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ডিলারদের দেয়া ব্যাংকের শ্রেণীবদ্ধ ঋণের ক্ষেত্রে সংরক্ষিত প্রভিশন ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। এর জন্য সংস্থাটি ধন্যবাদ পেতে পারে।
এছাড়াও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ না নিয়ে বন্ড ইস্যু করে অর্থের সংস্থান করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৩–২৪ অর্থবছরের ১ম ষান্মাসিক এর জন্য (জুলাই-ডিসেম্বর-২০২৩) নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করে। এর আলোকে এসব তথ্য জানানো হয়।
ঘোষিত মুদ্রানীতিতে উন্নত ও বিকশিত পুঁজিবাজার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। উন্নত ও বিকশিত পুঁজিবাজারের অভাবে দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ ব্যাংকের অর্থায়নের উপর নির্ভরশীল হতে হয়। এজন্য প্রতিষ্ঠানটি পুঁজিবাজারের পাশাপাশি বন্ড মার্কেট বড় করার ওপর জোর দিয়েছে। সামগ্রিকভাবেই এটি পুঁজিবাজারের জন্য মঙ্গলজনক হবে বলে আমরা আশা করি।