একদিকে টানা দরপতন, অন্যদিকে বিনিয়োগকারীদের আস্থার অভাব। এই উভয় সংকটে পুঁজিবাজার যেন শাঁখের করাতে পড়েছে। দুই দিকের ধারে কাটা পড়ছে তার সূচক। এই সূচকপতন কেবল বাজার ওঠা-নামারই নয়, বাজার সম্পর্কে মানুষের আস্থারও পতন। অবস্থার গুণগত পরিবর্তন হলে হয়তো দ্রুতই বাজারের সূচক বাড়বে। কিন্তু মানুষের আস্থার সূচক রাতারাতি বাড়ে না। এর জন্য দীর্ঘ সময় ও প্রক্রিয়া দরকার হয়। এটি যদি উপলব্ধি করা না যায় তাহলে অগ্রগতিও সম্ভব নয়।
বলা যায়, পুঁজিবাজারের এই অবস্থা একদিনে সৃষ্টি হয়নি। দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর ধরে বাজার যেভাবে চলছে, তার পরিণতি এটি। বাজারের প্রতি এক ধরনের অবহেলা ছিল বলে অভিযোগ করে আসছেন সাধারণ বিনিয়োগকারী ও সংশ্লিষ্ট অনেকেই। এই অবহেলার মাত্রাই হয়তো আজকের অবস্থার জন্য দায়ী। এ দায় কার, কীভাবে এমনটি হয়েছে এ নিয়ে হয়তো চুলচেরা বিশ্লেষণ করা যাবে। কিন্তু যে ক্ষতি হয়েছে সেটি পুষিয়ে নেয়া খুবই কঠিন। এই কঠিন পথ পাড়ি দেয়ার ক্ষেত্রে পুঁজিবাজার কর্তৃপক্ষ এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা কতটা দূরর্দশিতা দেখাতে পারে সেটিই দেখার বিষয়। কারণ কাজটি তাদের। তারাই এটি করে দেখাতে পারেন। বাইরে থেকে যতই পরমর্শ দেয়া হোক, সেটি পরামর্শ আকারেই থেকে যাবে এবং যাচ্ছে। আমরা শুধু বলতে চাই, যত দ্রুত সম্ভব পুঁজিবাজারকে আস্থার জায়গা হিসেবে পুনর্গঠন করা জরুরি।