বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার পরদিন সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস গত বৃহস্পতিবার (২২ডিসেম্বর) দেশের পুঁজিবাজারে সূচক সামান্য বেড়েছে। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ ও লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম। এ অবস্থায় আড়াই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে মাত্র ২২৭ কোটি ৭৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। এর আগে ২০২০ সালের ১৬ জুলাই লেনদেন হয়েছিল ২২৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকার। যা ২ বছর ৫ মাস ৮ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন। দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি টাকা।
২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) স্বল্প মূলধনী ১৬৯টি কোম্পানির শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস তুলে দিয়েছে। এবিষয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বিনিয়োগকারীদের কথা চিন্তা করে লেনদেন বাড়াতে মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশনে মাত্র ৫ শতাংশ শেয়ারধারী কোম্পানিগুলোর ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি বাজার মুভ করবে।
ডিএসইর তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার দিনভর সূচক ওঠানামার মধ্যদিয়ে লেনদেন হয়েছে। এদিন ৩০৯টি প্রতিষ্ঠানের মাত্র ৩ কোটি ৫২ লাখ ২৭ হাজার ২০১টি শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।
এদিন লেনদেন হওয়া ৩০৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৫২টির, কমেছে ১০১টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক আগের দিনের চেয়ে ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৫৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ডিএস-৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ১ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৯৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন ২শ কোটি ঘরে নেমে আসায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা বাড়তে পারে।