Stock Market Journal

লেনদেনের হতাশা বিনিয়োগকারীদের পিছু ছাড়ছে না

লেনদেন আরও হতাশাজনক হচ্ছে। দেশের প্রধান পুঁজিবাজারের লেনদেন আবারও ৩০০ কোটি টাকার নিচে নেমে গেছে। তাতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন ফিরে গেছে প্রায় দেড় মাসের আগের অবস্থানে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে রোববার ঢাকার বাজারে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৮৫ কোটি টাকা। এর আগে সর্বশেষ গত ৮ জানুয়ারি ডিএসইতে সর্বনিম্ন ২৮৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল।

বাজার থেকে বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন আরও আগেই। নতুন বিনিয়োগ তো আসছেই না, উল্টো বিদ্যমান বিনিয়োগকারীদের অনেকে শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে বাজার থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। এ কারণে বাজারে শেয়ারের দাম একটু বাড়তে থাকলেই বেড়ে যায় বিক্রির চাপ। ফলে সূচক ও শেয়ারের দাম উভয়ই তখন কমতে শুরু করে। বাজারের নিয়মিত লেনদেনকারীরাও তাতে চুপসে যান।

ঢাকার বাজারে দিনটি শুরু হয়েছিল সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায়। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি কমতে শুরু করে। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৮ পয়েন্ট কমে প্রায় এক মাস আগের অবস্থানে ফিরে গেছে। দিন শেষে ডিএসইএক্স সূচকটি কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২২৮ পয়েন্টে। এর আগে গত ১২ জানুয়ারি ডিএসইএক্স সূচকটি সর্বশেষ ৬ হাজার ২১৫ পয়েন্টের সর্বনিম্ন অবস্থানে ছিল।

গত প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে ১০ থেকে ১৫টি কোম্পানিকে কেন্দ্র করে শেয়ারবাজারের লেনদেন ঘুরপাক খাচ্ছিল। ওইদিন বাজারে সেসব কোম্পানির শেয়ারের উল্লেখযোগ্য দরপতন ঘটে। ফলে লেনদেনেও তার বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ ছাড়া লেনদেনে নেতৃত্ব দেওয়া কোম্পানিগুলোর বড় ধরনের দরপতনে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে তাঁরা লেনদেনে অংশ নেওয়ার সাহস হারিয়ে ফেলেছেন। এতে বাজারে লেনদেন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমে যায়।