রাজনীতির পালাবদলেই আধুনিক সমাজ আবর্তিত হয়। এখন পর্যন্ত সভ্য সমাজে রাজনীতির উত্তম দর্শন গণতন্ত্র। গণতন্ত্রে পৌঁছানোই রাজনীতির লক্ষ্য। এই রাজনীতিতে যদি ব্যবসা বা ব্যবসায়ী ঢুকে পড়েন তখন গণতন্ত্র ব্যাহত হয়, রাজনীতির প্রতি মানুষের কোনো আগ্রহ থাকে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেখলে এই যুক্তি আরো মজবুত হয়। ট্রাম্প মূলত একজন ব্যবসায়ী। তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে একের পর এক পাগলাঘণ্টা বাজিয়ে চলছেন আর মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। একই সঙ্গে নিজের ব্যবসায়িক মন্ত্র রাজনীতিতে প্রয়োগ করে রাজনীতির বারোটা বাজিয়ে ছাড়ছেন।
প্রকাশ্যে বলি আর লুকিয়ে বলি- আমাদের দেশের অনেক ব্যবসায়ী এখন রাজনীতিতে জড়িয়ে ক্ষমতার মসনদে। মূলত তারা ধন বৃদ্ধির জন্যই রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন- তাদের সম্পর্কে মানুষের এমন ধারণাই প্রচলিত আছে। এটি আমাদের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে প্রতিনিয়ত দুর্বল করে তুলছে। ব্যবসায়ীদের অর্থের দাপটে তৃণমূলের ত্যাগী রাজনৈতিক নেতারা ক্ষমতার কাছঘেঁষতে পারেন না। টাকার জোরে নির্বাচন করে বা অন্যভাবে প্রভাব খাটিয়ে ব্যসায়ীরা রাজনীতি দখল করে নিচ্ছেন। দেশে বিত্তবানের চেয়ে বিত্তহীনের সংখ্যা বেশি। আর শাসন ব্যবস্থায় গণতন্ত্র মানে বেশি মানুষের পক্ষে শাসন এবং তাদের উন্নতি করা। সেই বেশি মানুষ কিংবা সৎ যোগ্য রাজনীতিবিদরা ব্যবসায়ীদের টাকার ক্ষমতার কাছে পাত্তাই পাচ্ছেন না। এটি গণতন্ত্রের নমুনা হতে পারে না। তারপরও এই ধারাই প্রবল হয়ে উঠছে আমাদের দেশের রাজনীতিতে। এটি আমাদের গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে অশনি সংকেত। এর থেকে বের হতে না পারলে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে আমরা ছিটকে পড়বো।