Stock Market Journal

মিউচ্যুয়াল ফান্ডের তথ্য বিভ্রাটে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ বিনিয়োগকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চলতি হিসাববছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রিলায়েন্স ওয়ান মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট প্রতি আয় (ইপিইউ) হয়েছে ২ টাকা ৬৯ পয়সা। কিন্তু ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে দেখানো হয়েছে মাত্র ৭৯ পয়সা। ফান্ডটির আয় সঠিকভাবে প্রকাশ না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফান্ডটির বিনিয়োগকারীরা। তারা ফান্ডটির অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি এবং ডিএইস’র দ্বারস্থ হয়েও কোন সমাধান পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন।

ডিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, রিলায়েন্স ওয়ান মিউচ্যুয়াল ফান্ড চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২০) ইউনিট প্রতি আয় করেছে ১ টাক ৭৫ পয়সা। যা আগের হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’১৯) ছিল ১ টাকা ১৭ পয়সা।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২০) ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ৫৯ পয়সা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে ছিল ১২ পয়সা। ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২০) ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৩৪ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৮ পয়সা।

তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ৩৫ পয়সা। যা আগের হিসাববছরের একই সময়ে ছিল ৪ পয়সা।

এতে দেখা যায়, চলতি হিসাববছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৬৯ পয়সা। কিন্তু ডিএসই’র ওয়েবসাইটে ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) আয় দেখানো হয়েছে ৭৯ পয়সা।

ডিএসই’র ওয়েবসাইটে ৯ মাসে ফান্ডটির আয় কম সঠিকভাবে না দেখানোর কারণে বিনিয়োগকারীরা বিভ্রান্তিতে পড়েছেন। ফলে আয় অনুযায়ী ফান্ডটির যে দর থাকা উচিত, সেই দরে নেই। এতে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন।

এক বিনিয়োগকারী নাম প্রকশ না করে শেয়ারনিউজকে জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি ফান্ডটির অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি এইমস বাংলাদেশ এবং ডিএসই’র সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি।

তিনি বলেন, এইমস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের প্রথম উদ্যোক্তা কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটির গ্রহণযোগ্যও অন্যান্য অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির তুলনায় অনেক বেশি। এইমসের কাছ থেকে অন্তুত এ ধরণের উদাসীনতা কাম্য নয়।

তিনি আরও বলেন, ডিএসই’র উচিত ছিল তথ্যটি যাচাই করে সংশোধন করে প্রকাশ করা। কিন্তু ডিএসই সেটি করেনি। ডিএসই’র মতো এতো বড় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেও এ ধরণের দায়িত্বহীন কাজ কাম্য হয়।

তিনি আশা করছেন, ডিএসই’র ওয়েবসাইটে শিগগির ফান্ডটির সঠিক তথ্য সংশোধিত আকারে প্রকাশ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
এসএমজে/২৪/রা