Stock Market Journal

মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ডিলারদের বিনিয়োগ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি

এসএমজে ডেস্ক:

পুঁজিবাজারে ধারাবহিক পতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শঙ্কা ভর করেছে। বাজার আরও পড়বে-এমন আতঙ্কে তারা তলানির দরেও শেয়ার ছেড়ে দিচ্ছেন। ফলে প্রতিদিনই সেল প্রেসার বাড়ছে এবং ক্রেতা সংকট কোম্পানির তালিকা দীর্ঘতর হচ্ছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, ঈদের টানা ৯ কার্যদিবস যাবত শেয়ারবাজারে পতন চলছে। যা বিনিয়োগকারীদের দিশেহারা করে তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজারে অর্থ প্রবাহ বাড়ানোর জন্য মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ডিলারদের বিনিয়োগ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

দেশের জ্বালানি তেল ও গ্যাস সম্পদ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে গত সোমবার (১৮ জুলাই) সারাদেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় সরকার। সরকারের এমন ঘোষণা আসার পর শেয়ারবাজারে বড় পতন শুরু হয়। ফলে ক্রেতা সংকটে পড়ে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। মঙ্গলবারও শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ক্রেতা সংকট দেখা দেয়। ফলে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমার মাধ্যমে মূল্যসূচকের বড় পতন হয়। পরের দুই কার্যদিবস বুধবার ও বৃহস্পতিবার কিছু প্রতিষ্ঠানের ক্রেতা ফেরায় দরপতনের মাত্রা কিছুটা কমে। তবে পতনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি বাজার। আজ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববারও বড় পতন হয়।

শেয়ারবাজারের অস্বাভাবিক মন্দা কাটাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা অর্থ প্রবাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসাবে মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ডিলারদের অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহার হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কমিশনের কাছে খবর রয়েছে, মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ডিলাররা অর্থ বা ক্যাপিটালের অপব্যবহার করেছে।

বিএসইসির এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা শেয়ারনিউজকে বলেন, মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ডিলারদের বিনিয়োগ যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না। তাই কমিশন তাদের বিনিয়োগ সঠিক ব্যবহারে নজরদারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে অব্যবহ্নত অর্থ শেয়ারবাজারে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যা বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

এই বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামও গতকাল শনিবার এক টকশোতে তাদের অর্থ খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন।

এসএমজে/২৪/রা