ভুল তথ্য দিয়ে পুঁজিবাজারের বিনিয়োকারীদরে বিভ্রান্ত করার বিষয়টি নতুন নয়। তবে বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এটি আরও ব্যাপক হারে বাড়ছে। আর এর শিকার হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এমন পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার উচিত এর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।
গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীচ হ্যাচারির ভবন ও হ্যাচারির ইক্যুপমেন্ট ভেঙ্গে ফেলায় ৭ বছর আগে কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে উৎপাদনে ফিরেছে বলে কোম্পানিটি কর্তৃপক্ষ তথ্য প্রকাশ করেছে।
কিন্তু কোম্পানিটি সত্যি সত্যি উৎপাদনে ফিরেছে কিনা, তা নিয়ে নানা সন্দেহজনক বিষয় উঠে এসেছে নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে। কোম্পানিটির উৎপাদনে ফেরা নিয়ে নিরীক্ষকেরা আগের বছরগুলোতেও অনেক শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।
ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে থাকা বীচ হ্যাচারির শেয়ার নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত চলছে কারসাজি। যেখানে কৃত্রিম আর্থিক হিসাব দেখিয়ে বার বার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা হচ্ছে। এই কোম্পানির ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে নিট মুনাফা অর্জনের খবর প্রকাশ করা হলেও, তার সত্যতা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। কারণ কোম্পানিটি নানা ইস্যুতে কৃত্রিম আর্থিক হিসাব দেখিয়েছে। আর এর মাধ্যমে চলছে নানামুখী কারসাজি। তাই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কথা চিন্তা করে দ্রুতি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া উচিত।