দেশের পুঁজিবাজারের প্রাণ হিসেবে বিবেচিত হওয়া ব্যাংক খাতের শেয়ার এখন নানাভাবে অবহেলিত। লেনদেনের সিংহভাগ এক সময় থাকতো ব্যাংকের দখলে। তবে নানা অনিয়মে জড়িয়ে বেশি কিছু ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার অবনতি হয়। একই সঙ্গে লভ্যাংশের ক্ষেত্রে বোনাস শেয়ারনির্ভর হয়ে পড়ে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ ব্যাংক। ফলে পুঁজিবাজার থেকেও দাপট হারায় খাতটি।
তিন বছরে ধরে ব্যাংকগুলোর মধ্যে নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে সার্বিকভাবে লভ্যাংশ দেওয়ার হারও। এরপরও বিনিয়োগকারীদের হারানো আস্থা ফেরেনি। ফলে ভালো লভ্যাংশের পরও অবহেলিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ব্যাংকের শেয়ার দাম।
ব্যাংকের শেয়ার অবহেলিত অবস্থায় পড়ে থাকার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খেলাপি ঋণসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দেশের ব্যাংক খাত সমস্যার মধ্যে রয়েছে। এরপরও সার্বিকভাবে ব্যাংকের অবস্থা খুব একটা খারাপ নয়। অধিকাংশ ব্যাংক এখন ভালো অবস্থায় রয়েছে। নিয়মিত ভালো মুনাফার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের ভালো লভ্যাংশও দিচ্ছে। কিন্তু শেয়ারবাজারের বর্তমান বিনিয়োগকারীরা লভ্যাংশ পাওয়ার আশায় নয়, রাতারাতি মুনাফা পাওয়ার আশায় বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। এ কারণে তারা ভালো লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠান ফেলে দুর্বল কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করছে।
বিনিয়োগকারীদের এ ধরনের আচরণ যুক্তিসঙ্গত নয়। বিনিয়োগকারীদের উচিত বিনিয়োগের আগে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক চিত্র ভালো করে পর্যালোচনা করা। আর্থিক চিত্র ভালোভাবে পর্যালোচনা না করে বিনিয়োগ করলে লাভের বদলে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি থাকে। আর ভালো আর্থিক সক্ষমতা সম্পন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করলে তাৎক্ষণিক মুনাফা না পাওয়া গেলেও, দীর্ঘ মেয়াদে ভালো মুনাফা করা সম্ভব।