বর্তমান আর্ন্তজাতিক পরিস্থিতি কিছুটা অস্থিতিশীল রয়েছে। তবে আমাদের দেশের পুঁজিবাজারের সংকটের পেছনে এটিই একমাত্র কারণ নয়। এর বাইরেও অনেক বিষয় রয়েছে। সেগুলো আগেও দেখা গেছে। বিশেষ করে কারসাজি বন্ধ করাই বড় চ্যালেঞ্জ।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে চলা দরপতন থেকে রক্ষা পেতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় হতে সব ব্যাংকগুলোতে চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এরপর শেয়ার কিনে মার্কেট সার্পোট দেওয়ার জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান আইসিবিকে শক্তিশালী করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলোকে ২০০ কোটি টাকা আলাদা ফান্ডের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে। ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলেশন ফান্ড গঠন করেছে। এই ফান্ডের অর্থ আইসিবিরি মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, শেয়ারের দাম কমার সার্কিট ব্রেকার সর্বোচ্চ ৫ শতাংশের বিধান থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়াও বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে সম্প্রতি কারসাজি চক্রের বিষয়ে মাঠে নেমেছে কর্তৃপক্ষ। একজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এত কিছুর পরও পুঁজিবাজার বশে আসছে না কেনো? অনেকেই ধারণা করেন, কারসাজি চক্র ১০ টাকার শেয়ার ১০০ টাকা বানিয়ে ফেলে। এটিই হচ্ছে বড় সমস্যা। এর সমাধান না হলে বাজার স্থিতিশীল হবে কী করে?