গাছ যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন ফল নিয়ে কাড়াকাড়ির চেয়ে গাছ বাঁচানোর চেষ্টাই গুরুত্বপূর্ণ। এটি জানার জন্য ভারী ভারী বই পুস্তকের দরকার হয় না। আমাদের গ্রাম-বাংলার মানুষ নিজের আক্কেল-জ্ঞান থেকেই কাজটি করে থাকেন।কিন্তু অনেক সময় শিক্ষিত সমাজও কেনো জানি কাজটি করতে পারেন না।অবস্থাদৃষ্টে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বর্তমানে এমনটিই দেখা যায়।
২০১১ সালের মহা ধসের পর থেকে পুঁজিবাজার দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির মুখে পড়ে।যা এখন পর্যন্ত বিদ্যমান। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে পুঁজিবাজারের ক্ষতি এবং ক্ষত কাটানোর চেষ্টা না করে কেবল এর থেকে যাচ্ছেতাইভাবে পুঁজি উত্তোলনের চেষ্টা করা হয়েছে।
সাধারণত সারা দুনিয়ায় পুঁজিবাজারে ক্রান্তিকালে বিনিয়োগ বাড়ানো হয় এবং এর জন্য সব ধরনের চেষ্টা চলে।কিন্তু আমাদের পুঁজিবাজার চলছে এর বিপরীত পথে। এখান থেকে রাইট শেয়ারের মাধ্যমে ব্যাপকহারে পুঁজি উত্তোলন করা হয়েছে এবং হচ্ছে। যেন ‘সবকিছু শেষ হয়ে যাচ্ছে, এখনই যত হাতিয়ে নিতে হবে।’ – এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।এতে সম্পূর্ণরূপে বাজারের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। জোগান এবং চাহিদার মধ্যে সমন্বয়হীনতা তৈরি হয়েছে। এতে বিপর্যয়ে পড়েছে পুঁজিবাজার। এই বিপর্যয় কবে কাটবে বলা মুশকিল। এটি এখন কেবল সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরই ক্ষতি নয়, দেশের অর্থনীতির জন্যও হুমকি। সুতরাং আর সময় ক্ষেপণের সুযোগ নেই। দ্রুতই এর সমাধান করা প্রয়োজন।