বর্তমান বিশ্ববাস্তবতায় পুঁজিবাজারকে আকর্ষণীয় বিনিয়োগ ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। দেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রেও বিষয়টি সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই পুঁজিবাজার উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
নতুন অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবং অতালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর কর হার কমানো হয়েছে। এতে করে তালিকাভুক্ত এবং অতালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর কর হারের পার্থক্য আগের মতই রয়েছে। যার কারণে বিদেশি এবং দেশি ভালো ভালো কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে আসতে আগ্রহী হবে না।
অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, বিদেশি ভালো কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসতে হলে তালিকাভুক্ত এবং অতালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর কর হারের পার্থক্য ১০ শতাংশ করা প্রয়োজন। কিন্তু বিষযটি প্রস্তাবিত বাজেটে সে আলোকে আমলে নেওয়া হয়নি। ব্যাংক এবং এনবিএফআই এর কর হার কমানো হয়নি। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কর হার কমলে তারা সেই অর্থ বাবারও বিনিয়োগ করার সুযোগ তৈরি হতো। এতে করে তারল্য বৃদ্ধি পেত।
পুঁজিবাজারে স্বার্থ আর দেশের অর্থনীতির স্বার্থ আলাদা কিছু নয়। এ কারণে নীতিনির্ধারকদের পুঁজিবাজার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব থাকা জরুরি। একসঙ্গে পুঁজিবাজারকে আকর্ষণীয় বিনিয়োগ ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।