Stock Market Journal

বিনিয়োগকারীরা প্রতারিত হলে দায় কার

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আরও ৩১ কোম্পানির কার্যক্রম তদন্ত করবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। কোম্পানিগুলোর কারখানা ও প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন এবং তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করা হবে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সম্প্রতি ৩১টি কোম্পানির ওপর বিস্তারিত তদন্তের জন্য ডিএসইকে অনুমোদন দিয়েছে।

বিদায়ী ২০২৩ সালে ডিএসইর পক্ষ থেকে গত বছর তালিকাভুক্ত অর্ধশতাধিক কোম্পানির সার্বিক কার্যক্রম খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়। প্রথম দফায় গত আগস্ট ১৪ কোম্পানির সার্বিক কার্যক্রম তদন্তের অনুমোদন দিয়েছিল বিএসইসি। এ দফায় নতুন ৩১টি কোম্পানির কার্যক্রম তদন্তের অনুমোদন দেয় বিএসইসি।

বলা হচ্ছে তদন্তের মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর সার্বিক চিত্র উঠে আসবে। তার ভিত্তিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হবে। এরই মধ্যে যেসব কোম্পানির প্রতিবেদন নিয়ন্ত্রক সংস্থার হাতে এসেছে, তার ভিত্তিতে কিছু বন্ধ কোম্পানি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তালিকাভুক্ত এসব কোম্পানির বেশির ভাগই দীর্ঘদিন ধরে সিকিউরিটিজ আইনের বিভিন্ন বিধিবিধান যথাযথভাবে পরিপালন করতে পারছে না। কোনো কোনো কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করেও তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। আবার কিছু কোম্পানি তো উৎপাদনেই নেই। কিছু কোম্পানি বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করে না। ফলে এসব কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হচ্ছেন না।

এসব খারাপ কোম্পানির কার্যক্রম পরিদর্শন করে খুব বেশি কিছু করা যাবে বলে মনে হয় না। বড়জোর এসব কোম্পানিকে তালিকাচ্যুত করা যেতে পারে। তাই তালিকাভুক্তির পর ব্যবস্থা না নিয়ে তালিকাভুক্তির আগেই কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করা উচিত। তা না হলে বিনিয়োগকারীরা বারবার ক্ষতিগ্রস্তই হবেন। এছাড়া বিনিয়োগকারীরা কেনো প্রতারিত হবেন। এর জন্য দায়ী কারা? কার গাফিলতির কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার। কেবল তদন্তের মধ্য দিয়ে দায় শেষ করলে চলবে না।