পুজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছেন ঋণগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা। বেশি লাভের আশায় ভালো শেয়ারে ঋণ করে বিনিয়োগ করে অনেকে আটকে আছেন। না পারছেন শেয়ার বিক্রি করতে, না পারছেন কিনতে। কিন্তু দিন শেষে ঘুরছে সুদের চাকা। তাতে বসে বসে সুদ গুনতে হচ্ছে এসব বিনিয়োগকারীকে।
প্রাইমারি বাজারের মাধ্যমে মূলত নতুন কোম্পানিকে মূলধন জোগান দেওয়া হয়। আর সেকেন্ডারি বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির হাতবদল হয়। বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক মন্দাবস্থার কারণে প্রাইমারি মার্কেটের মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে পুঁজি সংগ্রহে আগ্রহ কমেছে কোম্পানিগুলোর। কারণ, ব্যবসা–বাণিজ্যে একধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় ভালো কোনো কোম্পানি শেয়ারবাজারে আসছে না। যেসব কোম্পানি বাজারে আসছে সেগুলোর মান নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। ফলে প্রাইমারি বাজারটিও খুব বেশি সক্রিয় নেই। বিনিয়োগকারীরাও প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও শেয়ারে খুব বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এ কারণে সম্প্রতি আইপিওতে আসা একটি ব্যাংকের শেয়ারের আইপিওর বড় অংশই অবিক্রীত ছিল।
আর সেকেন্ডারি বাজারটির কার্যক্রমও ফ্লোর প্রাইসে বন্দী। এ অবস্থায় শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টদের মনে প্রশ্ন একটাই—কৃত্রিম এ শেয়ারবাজার কার কাজে লাগছে?