পুঁজিবাজার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এখানে প্রতিটি মুহূর্ত আলাদা করে বিশ্লেষণের দাবি রাখে। পূর্বনির্ধারিতভাবে অনেক কিছুই হয় না। তাই পরিস্থিতি বুঝে বিনিয়োগকারীদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো পরিমিতিবোধ।
লেনদেনের ক্ষেত্রে একটি শেয়ার কখন ছেড়ে দিতে হবে আবার কখন ধরে রাখতে হবে এটি বুঝতে পারা খুবই প্রয়োজন। যখন শেয়ারের দর বাড়ে, সেটি আসলে কতটা বাড়ার পর বিক্রি করতে হবে, এ বিষয়ে পরিমিত বোধ থাকাটা দরকার। শেয়ার কেনার বিষয়েও একই ধরনের মনোভাব জরুরি। এই সময়জ্ঞানটা না থাকার কারণেও অনেক সময় বিনিয়োগকারীরা মুনাফা থেকে বঞ্চিত হন।
পুঁজিবাজারের একজন বিনিয়োগকারী সব সময় মুনাফা করতে পারবেন না। আবার সব সময় লোকসান করবেন, এমনটিও নয়। দুটো বিষয়ই বিনিয়োগকারীদের মাথায় রাখতে হবে। তারপরও দুটো পয়সা উপার্জনই বিনিয়োগকারীদের মূল উদ্দেশ্য। আর এর জন্য তড়িগড়ি কোনো রাস্তা নেই। সঠিক উপায়ে কোম্পানি নির্বাচন, উপযুক্ত সময় শেয়ার কেনা-বেচায় দক্ষতা প্রদর্শন এ ক্ষেত্রে খুবই প্রয়োজন। একজন সফল বিনিয়োগকারীর এই গুণ থাকাটা আবশ্যক। এ কারণেই লেনদেনের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের পরিমিতবোধ একটি অন্যতম শর্ত।