দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর পরিচালকরা প্রায়ই স্বেচ্ছাচারি আচরণ করে থাকেন। তাদের এই আচরণের কারণে বিনিয়োগকারীরা ন্যায্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হন। এ ধরনের ঘটনার ফলে পুঁজিবাজারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। তাই এ ধরনের কর্মকণ্ড রোধে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো যাতে শেয়ারহোল্ডার তথা বিনিয়োগকারীদের মুনাফা থেকে বঞ্চিত করতে না পারে, সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর পরিচালনা বোর্ড ডিভিডেন্ড ঘোষণার ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম-নীতি অনুসরণ করছে না। কোম্পানিগুলোর পরিচালনা বোর্ড এখনো খেয়াল-খুশি মতো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করছে। কোম্পানির ভালো মুনাফা হলেও শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। অথচ কোম্পানির সুযোগ-সুবিধা ইচ্ছামতো তারা ভোগ-দখল করছে। কোম্পানির পরিচালকদের ভোগ-বিলাস ও স্বেচ্চাচারিতা রোধ করার জন্য এবং শেয়ারহোল্ডার ন্যায্য ডিভিডেন্ড নিশ্চিত করার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন। কারণ বিনিয়োগকারীদের কোম্পানির অর্জিত মুনাফা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার থেকে তাদেরকে বঞ্চিত রাখা অনৈতিক এবং অপরাধ। এ ধরনের কর্মকাণ্ড রোধ করা অবশ্যই দরকার।