পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনের কাছে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা ছিল অতীতে যেসব অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছিল, সেগুলোর পুনরাবৃত্তি হবে না, এমন ভরসা তৈরি করা। অনিয়ম ও দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে ২০১০ সালের শেয়ারবাজার ধসের ঘটনায় জড়িতদেরও আইনের আওতায় আনা। কিন্তু এসব বিষয়ে কতটা কাজ কমিশেন করেছে সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
মাকসুদ কমিশনের কাছে প্রত্যাশা ছিল– অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত শেয়ারবাজার গড়তে প্রয়োজনীয় সংস্কার করার। দায়িত্ব গ্রহণের দ্বিতীয় মাসে সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করতে পাঁচ সদস্যকে মোট ১৭টি বিষয়ে সুপারিশ দিতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। টাস্কফোর্স গত সাত মাসে মাত্র মিউচুয়াল ফান্ড, মার্জিন এবং আইপিও রুলসের ওপর কিছু সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে। এটা কমিশনের চাওয়া তিনটি বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাবের খণ্ডিত অংশ।
জানা গেছে কমিটির পাঁচ সদস্যের সবাই বড় পদে পূর্ণকালীন চাকরি করেন। তাদের পক্ষে এই বিশাল কাজ করার সময় কতটা আছে সেটি দেখার বিষয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে শুরু করে বাজার–সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাঠামোগত মৌলিক সংস্কারের বিকল্প নেই। এ কাজ করতে গেলে বড় ধরনের নীতিগত পদক্ষেপ দরকার।