Stock Market Journal

বিএসইসির কাজে স্থবিরতা কাম্য নয়

এখনকার মতো পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাজে এত বেশি স্থবিরতা অতীতে খুব একটা দেখা যায়নি। বিএসইসির কর্মকর্তাদের একটি বড় অংশই এখন শুধু নিয়মিত দায়িত্ব পালনের মধ্যে নিজেদের সীমাবদ্ধ রেখেছেন। তাতে সংস্থাটির কার্যক্রম বড় ধরনের স্থবিরতার মধ্যে পড়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাজে যখন স্থবিরতা দেখা দেয়, তখন তার রেশ বাজারে ছড়িয়ে পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।

বর্তমান কমিশনের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ সিদ্ধান্ত গ্রহণে দীর্ঘসূত্রতা দক্ষতার ঘাটতি। কারণে শেয়ারবাজারে অমীমাংসিত সমস্যাগুলো এখনো রয়ে যাচ্ছে। সেখান থেকে যত অনাস্থার জন্ম হচ্ছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা খুবই দুঃখজনক। বিএসইসির বিগত দুই কমিশনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ শোনা যায়। বর্তমান কমিশনের বিরুদ্ধে এখনো সেই ধরনের কোনো অভিযোগ শোনা না গেলেও তাদের অভিজ্ঞতায় বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে। কারণে বর্তমান কমিশন অনেক উদ্যোগ নিলেও সেগুলোর ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না।

বিগত দুই কমিশনের সময় বাজারে আসা অনেক কোম্পানি এখন বাজারের জন্য বড় বোঝা বা বার্ডেন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব বার্ডেন দূর করতে না পারলে বাজারে স্বাভাবিক গতি ফিরে আসবে না।

বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে যে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, বর্তমান কমিশন তা এখনো নিতে পারেনি। সেই কারণে শেয়ারবাজারের লেনদেন কমে ৪০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। যেকোনো কিছু নতুন শুরুর ক্ষেত্রে বড় নিয়ামক হচ্ছে পুরোনো জঞ্জাল দ্রুত সরিয়ে ফেলা বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপের মাধ্যমে নতুন আশাবাদ তৈরি করা। বিএসইসির বর্তমান কমিশনের কাছে বাজারসংশ্লিষ্টদের এই দুটি প্রত্যাশায় সবচেয়ে বেশি। কিন্তু সেই প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির মিলছে না। কারণে দিন দিন হতাশা বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের। তার মধ্যে শেয়ারের দরপতন এই হতাশাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।