পুঁজিবাজারে আরও একটি মাস কাটল হতাশায়। বিনিয়োগকারীদের জন্য মাসটি ছিল খুবই খারাপ। ২০১৮ সালের পর এ রকম খারাপ মে মাস আর দেখতে হয়নি বিনিয়োগকারীদের। সেই হিসাবে শুধু মে মাস বিবেচনায় গত ছয় বছরের মধ্যে চলতি বছরের মে মাসটিই ছিল সবচেয়ে সংকটময়। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, এটি বাজেটের আগের মাস। বাজেটকে ঘিরে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয় পুঁজিবাজারে।
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) চলতি মে মাসের ১৯ কার্যদিবসের মধ্যে ১৪ দিনই বাজারে শেয়ারের দাম কমেছে। দাম বেড়েছে মাত্র ৫ দিন। এর আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালের মে মাসে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে ১৮ দিনই বাজারে দরপতন হয়েছিল, দাম বেড়েছিল মাত্র ৩ দিন। এ কারণে চলতি মে মাসকে শেয়ারবাজারের জন্য ‘খারাপ মাস’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাসের ১৯ কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৩৩ পয়েন্ট বা প্রায় সাড়ে ৬ শতাংশ কমেছে। মে মাসের শুরুতে ডিএসইএক্স সূচকটি ছিল ৫ হাজার ৫৮৫ পয়েন্টের অবস্থানে। গত বৃহস্পতিবার সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইএক্স সূচকটি কমে দাঁড়ায় ৫ হাজার ২৫২ পয়েন্টে।
শেয়ারবাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রতিবছর বাজেট সামনে রেখে মে মাসে শেয়ারবাজারে কিছুটা অস্থিরতা বিরাজ করে। বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ থাকবে—এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় বাজেটের আগের মাস হিসেবে মে মাসে এ অস্থিরতা বিরাজ করে। তবে গত সাত বছরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ২০১৮ সালের পর এবারই বাজেটের আগের মাসে সবচেয়ে বেশি সংকটে ছিল শেয়ারবাজার। এরপর ২০১৯ সালের মে মাসে মোট ২১ দিন লেনদেন হয়েছিল বাজারে। তার মধ্যে সূচক কমেছে ৯ দিন আর সূচকের উত্থান ঘটে ১০ দিন। বাকি দুই দিন সূচক অপরিবর্তিত ছিল। ২০২০ সালে করোনার কারণে পুরো মে মাস শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ ছিল। ২০২১ সালের মে মাসের ১৯ কার্যদিবসের মধ্যে ১৪দিনই সূচক বেড়েছে।