ঘোষণার পর ঘোষণা, বৈঠকের পর বৈঠক- কোনোকিছুতে কাজ হচ্ছে না। পুঁজিবাজারে দরপতন চলছেই। এরই মধ্যে চলছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিরোধ। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- বাজার যারা ঠি করবেন তারা ঠিক আছেনতো?
গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, বিএসইসির সঙ্গে ডিএসইর এক ধরনের বিরোধ চলছে। প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) নিয়েই বিরোধ। ডিএসই আইপিওর দায়িত্বে থাকতে চায়, কিন্তু বিএসইসি তা ছাড়তে নারাজ।
বিএসইসির কমিশনার হেলাল উদ্দিন নিজামী সম্প্রতি গণমাধ্যমকে বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জ খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। বিএসইসির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না। গত পাঁচ থেকে ছয় বছরে স্টক এক্সচেঞ্জে যোগ্য নেতৃত্ব দেখা যায়নি।
এর আগে ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান এক অনুষ্ঠানে বলেন, গাছ যেমন ছায়া দেয়, কোম্পানির শেয়ার তেমনই বিনিয়োগকারীদের ছায়া দিয়ে রাখার কথা। কিন্তু এমন শেয়ারও এখন আসছে সেগুলোর ছায়া তো দূরের কথা, পাতাও পাওয়া যাচ্ছে না।
প্রথমত, যোগ্য নেতৃত্বই যদি না থাকে তাহলে বাজার ঠিক হবে কীভাবে? নিশ্চয় বিনিয়োগকারীরা বাজার সম্পর্কে সচেতন হয়ে যোগ্য নেতৃত্ব ঠিক করেন না। এটি সংশ্লিষ্টদের কাজ। সেই কাজে যদি গাফিলতি দেখা যায় সে দায় সংশ্লিষ্টদের ওপরই বর্তায়।
পরের বিষয়টি পুঁজিবাজারে গাছ যদি ছায়া না দেয় এবং এর যদি পাতাই না থাকে তাহলে এসব কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসে কী করে? এই দায়ও নিশ্চিয় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ওপর বর্তায় না। কারণ কোন কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসবে সেটি বিনিয়োগকারীরা ঠিক করেন না। তাহলে এখন এটিই বড় বড় প্রশ্ন- পুঁজিবাজারের সংকট যারা দূর করবেন তারাই সংকটমুক্ত কিনা? গত প্রায় এক দশক ধরে পুঁজিবাজারে নানা ধরনের সংকট চললেও এর কোনো স্থায়ী সমাধান হয়নি। তাই এই কাজটি যারা করবেন তাদের অনেক কিছুই ভেবে দেখা দরকার।