এসএমজে ডেস্ক:
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিটি ব্যাংক লিমিটেড মূলধন বৃদ্ধির জন্য বে-মেয়াদী বন্ড ছেড়ে ৪০০ কোটি টাকা সংগ্রহের সিদ্ধান্তে পরিবর্তন করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে শেয়ারে অ-রূপান্তরযোগ্য (Non-Convertible) বন্ডকে রূপান্তরযোগ্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ।
গতকাল অনুষ্ঠিত ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানা যায়, ব্যাংকটি তাদের এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে বিনিয়োগকারীদের সম্মতি ও মতামত নিতে আগামী ১৭ নভেম্বর বিকেল ৩টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) করবে। ইজিএম সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট আগামী ১৯ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে ।
এর আগে, গত ২৩ জুন (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭২৯তম কমিশন সভায় সিটি ব্যাংককে বে-মেয়াদী জিরোকূপন বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে বাজার থেকে ৪০০ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়।
তখন পর্যন্ত বন্ডটির বৈশিষ্ট্য ছিল-এটি শেয়ারে রূপান্তর অযোগ্য, সুদের হার ভাসমান (Floating Rate) এবং জামানতবিহীন (Unsecured) । এর কুপন রেট (সুদের হার) হতে পারে ১১ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত। আলোচিত বন্ডের প্রতি ইউনিটের মূল্য এক লাখ টাকা। ন্যূতম একটি বন্ডে বিনিয়োগ করতে হবে। সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা কোম্পানি, সমবায় সমিতি, সংগঠন, ট্রাস্টসহ যোগ্য বিনিয়োগকারীরা এই বন্ড কিনতে পারবে। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বন্ড বরাদ্দ দেওয়া হবে।
ব্যাংকের প্রাইমারি রেগুলেটর বাংলাদেশ ব্যাংক আলোচিত বন্ডের অনুমোদন দেওয়ার সময় এটিকে শেয়ারে রূপান্তরের শর্ত দিয়েছে। তবে ব্যাংকটির সিইটি-১ ক্যাপিটাল ৪.৫ শতাংশের নিচে নামলেই কেবল এই শর্ত প্রযোজ্য হবে। আর ক্যাপিটাল ওই সীমার উপরে থাকলে বন্ডকে শেয়ারে রূপান্তর করতে হবে না।
উল্লেখ্য, ব্যাংকটির সিইটি-১ ক্যাপিটাল প্রায় ১৩ শতাংশের । তাই ব্যাংকটির জন্য বন্ডকে শেয়ারে রূপান্তর করা জরুরি নয়। তবু রেগুলেটরের শর্ত মেনে বিকল্প রাখার জন্য বন্ডের বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। তার জন্য বিনিয়োগকারীদের মতামত গ্রহণ করা হবে।
এসএমজে/২৪/মি