ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধসহ বেশকিছু ইস্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া দরপতন ঠেকাতে ২০২২ সালের ৩১ জুলাই ফ্লোর প্রাইস আরোপ করেছিল পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর এক বছর পূর্ণ হয়েছে গত ৩০ জুলাই। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বাঁচাতে এই পদক্ষে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলো বিএসইসি। এখন দেখা দরকার ফ্লোর প্রাইস বিনিয়োগকারীদের কতটা সুরক্ষা দিতে পেরেছে।
প্রথম যেদিন পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয় সেইদিন ২২২ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের যা দাম ছিল, ঠিক এক বছর পর ৩০ জুলাই একই ছিল। অর্থাৎ ফ্লোর প্রাইসের কারণে এই কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম কমেনি। বরং এখান থেকে কোম্পানিগুলো বার্ষিক লভ্যাংশ পেয়েছে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার মতে, ফ্লোর প্রাইস না থাকলে ভয়ে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কিনতেন না। আর শেয়ার না কিনলে আজ ১৮১টি কোম্পানি যে মুনাফা পেয়েছে, সেই মুনাফাও পেতেন না।
মার্কেট এখন সুস্থ, তাই মানুষ ব্যবসা, প্রতিষ্ঠান সবকিছু বুঝে শুনে বিনিয়োগ করছে। এ কারণে ভালো ভালো কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। মানুষ এখান থেকে যেভাবে প্রফিট টেক (মুনাফা তুলছে) করেছে, এটাই ইন্ডিকেট করেছে যে ফ্লোর প্রাইস পুঁজিবাজারের জন্য কোনো ইস্যু নয়।
তবে এর উল্টো মতও রয়েছে অনেকের। সবকিছু নির্ভর করছে পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতার ওপর। সেটি সম্ভব হলেই বোঝা যাবে কতটা সঠিক ছিলো এই সিদ্ধান্ত।