পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়লে গতিশীলতা বাড়বে। বছরের শুরুতে যে ধসের সৃষ্টি হয়েছিল, এতে বাজারের লেনদেন ব্যাপক হারে কমে যায়। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বাজারে কিছুটা গতির সঞ্চার হয়। অন্যদিকে টানা দরপতনের কারণে প্রায় সব ধরনের শেয়ারের দাম কমে যায়। কোনো কোনো শেয়ার ফেসভ্যালুর নিচে নেমে যায়। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়। অনেক বিনিয়োগকারী লোকসানে পড়ে বিনিয়োগ সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। এখন তাদেরকে সক্রিয় করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরি। এতে বাজার গতিশীল হবে। বিনিয়োগকারীরাও নতুন করে আস্থা নিয়ে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবেন।
কোনো ব্যবসাই শূন্যঝুঁকি নয়। সবখানেই লাভ-লোকসানের বিষয় থাকে। পুঁজিবাজারেও শূন্যঝুঁকি বলতে কিছু নেই। তবে বাজার যদি স্বাভাবিক ধারায় চলে, এই ঝুঁকি তেমন ক্ষতি করতে পারে না। কোনো শেয়ারে লোকসান হলেও অন্য শেয়ার দিয়ে সেটি পুষিয়ে নেয়া যায়। এটি নির্ভর করে একজন বিনিয়োগকারী কতটা চৌকস তার ওপরে। তাই স্বাভাবিক পুঁজিবাজার প্রতিষ্ঠা করা গেলে লাভ-লোকসানের মধ্যে ভারসাম্য থাকে। কোম্পানির অবস্থা ভালো-মন্দের ওপর নির্ভর করে লাভ-লোকসান। এ কারণেই স্বাভাবিক পুঁজিবাজার সবার আগে কাম্য।