এখনই বলা যাচ্ছে না, গত কয়েক বছরের জমে থাকা সমস্যাগুলো পুঁজিবাজার থেকে দূর হয়ে গেছে। তবে সামগ্রিক বিবেচনায় বর্তমান বাজার পরিস্থিতিকে কিছুটা ইতিবাচক বলছেন অনেকে। তারপরও বাজারের বড় একটি বিষয় হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ। এটি এখনও আশানুরূপ নয়। নানামুখি পদক্ষেপ নিলেও এর গতি বেশ ধীর। যা কাম্য নয়।
এদিকে পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়টি বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)– এমনই খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে। এর ধারাবাকিতায় ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিলের ব্যবহার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়ে ৫৯ ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। ব্যাংকগুলোকে এ সংক্রান্ত তথ্য চিঠি পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যেই বিএসইসিকে অবহিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গত ১২ অক্টোবর ব্যাংকগুলোতে চিঠি বিতরণ কর্যক্রম সম্পন্ন হয়। এ খবর অবশ্যই ইতিবাচক। তবে ব্যাংকগুলোর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা প্রয়োজন। কালক্ষেপণ কাম্য নয়। এতে বাজারের স্বাভাবিকতা ব্যহত হতে পারে। এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সার্বক্ষণিক তাগাদা বিষয়টিকে আরও ত্বরান্বিত করতে পারে। যা হবে পুঁজিবাজারের জন্য মঙ্গলজনক।