বিপর্যস্ত পুঁজিবাজারকে স্বাভাবিক করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে আসছিলেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তাদের দাবি এবং পুঁজিবাজার ও অর্থনীতির স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সেই দাবিতে সাড়া দেন। তিনি বৈঠক করেন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে। বেশকিছু নির্দেশনা দেন। তার নির্দেশনার পর বাজার ঘুরে দাঁড়ায়। এর জন্য অবশ্য প্রধানমন্ত্রী সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু কয়েকদিন পরই বাজার আবার আগেরও চেয়ে খারাপ অবস্থায় ফিরে যায়। অনেকের সঙ্গে আমরাও একমত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়ন হলে বাজারে বর্তমান অবস্থা সৃষ্টি হতো না। তাই প্রশ্ন ওঠে- প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে এতো কালক্ষপেন কেনো?
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। অল্পসংখ্যক ব্যাংক পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে তহবিল গঠন করেছে। অধিকাংশ ব্যাংক এখনো এটি করতে পারেনি। বাজার সংশ্লিষ্টসহ সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে সংশ্লিষ্টরা কালক্ষেপণ করছে। এ কারণেই বাজারে থেমে থেমে দরপতন হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না।
কথা হচ্ছে, বর্তমান যুগে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে। দাপ্তরিক কাজে কাগজ চালাচালি অনেক সহজ হয়েছে। তারপরও যদি গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সময়ক্ষেপণ হয় এটি দুঃখজনক। তাই বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত।