বর্তমানে পুঁজিবাজার ধীরে ধীরে একটা অবস্থায় দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। এটি সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঠিক নীতি অবলম্বনের কারণে সম্ভব হয়েছে। এখন এই গতি ধরে রাখাটা খুবই প্রয়োজন। এ কারণে বাজার থেকে ক্ষতিকর উপাদান অপসারণ করতে হবে। কতিপয় দুর্বৃত্ত যেন কোনোভাবেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
২০২০ সালের এপ্রিলে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বাজারের বেশ কিছু সংস্কার করা হয়। এর মধ্যে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ বাধ্যতামূলক, নিজ কোম্পানিতে পরিচালকদের ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়। এছাড়া লোকসানি ও উৎপাদন বন্ধ থাকা কোম্পানিগুলো পুনর্গঠনের উদ্যোগ, শেয়ার ক্রয়ে মার্জিন ঋণের অনুপাত বাড়ানোর উদ্যোগ দীর্ঘদিন মন্দায় থাকা পুঁজিবাজার চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
পুঁজিবাজারের বর্তমান উন্নতি কেবল বিনিয়োগকারীই নয়, দেশের অর্থনীতির স্বার্থেই ধরে রাখতে হবে। একটি স্বচ্ছ পুঁজিবাজার গড়ে তুলতে হলে আমাদের দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা ও সঠিক দিকনির্দেশনা নিয়ে এগোতে হবে। তা হলেই পুঁজিবাজার থেকে ক্ষতিকর বিষয়গুলো দূর হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।