দেশে করোনা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হওয়ায় সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করছে সরকার। তবে দেশের অর্থনৈতিক লেনদেনের প্রধান মাধ্যম ব্যাংক খাত কীভাবে চলবে তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
এদিকে ব্যাংকের লেনদেনের সঙ্গে নির্ভর করছে পুঁজিবাজারের লেনদেন। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্মকর্তারা এর আগে বলেছেন, ব্যাংকের লেনদেন চালু থাকলে পুঁজিবাজারের লেনদেনও চালু থাকবে। অর্থাৎ ব্যাংকের লেনদেন যদি বন্ধ থাকে, তাহলে পুঁজিবাজারের লেনদেনও বন্ধ থাকবে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, লকডাউনে ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজারও খোলা থাকবে। এই নির্দেশনা দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) দেওয়া হয়েছে।
আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, দুনিয়ার সব দেশে পুঁজিবাজার চালু রয়েছে। আমাদেরও সেভাবেই বিষয়টি দেখা প্রয়োজন। পুঁজিবাজার চালু রেখেই কীভাবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করা যায় সেটি ভাবতে হবে। এটি দুই-চার দিনের বিষয় নয়। বছরের বেশি সময় ধরে এই মহামারি বিশ্বব্যাপি চলছে। এর শেষ কবে হবে সেটিও বলা যাচ্ছে না। সুতরাং করোনার কারণে পুঁজিবাজার বন্ধ রাখা কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারে না।