মোটামুটি একটা দীর্ঘ সময় পুঁজিবাজার থেকে অস্থিরতা বিষয়টি হারিয়ে গিয়েছিল। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দেখা গেছে। এটি যেন কিছুতেই সহ্য হচ্ছিল না কতিপয় চক্রের। তাই বাজার অস্থির করার জন্য নানা ধরনের ফন্দি আঁটা হচ্ছিল। কারণ বাজার অস্থির হলে কতিপয় চক্রের সুবিধা হয়। আর এটি করার জন্য তারা মরিয়া হয়ে ওঠে।
দীর্ঘদিন পর গুজবের একটি সপ্তাহ পার করলো দেশের পুঁজিবাজার। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যানের পদত্যাগের গুজব ছড়ানোসহ নানা কায়দায় গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন হারিয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার উপরে। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয় এখনও পুঁজিবাজারে অশুভ শক্তির দাপট রয়েছে। এই দাপট কমানোর কাজটি করাই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ নিতে বিএসইসি কতটা সক্ষম এটি দেখার সময় এসেছে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনেকগুলো কঠোর পদক্ষেপের পরও বাজার নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি পাননি বিনিয়োগকারীরা। তাদের পুঁজি হাতিয়ে নেওয়ার যে প্রক্রিয়া, সেটি এখনও অব্যাহত রয়েছে। তাই এই পরিস্থিতির মধ্য থেকে দ্রুত বের হয়ে আসাটাই এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।