Stock Market Journal

পুঁজিবাজারে সুশাসন আর কতদূর

পুঁজি হারানোই যেন বিনিয়োগকারীদের নিয়তি হয়ে গেছে। যত ধরনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে কোনোকিছুতেই কাজ হচ্ছে না। প্রতিদিনই নাই হয়ে হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকার বাজার মূলধন।
সর্বশেষ বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকারের নীতি-নির্ধারকরা বৈঠক করার পরও দরপতন থামছে না।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাজারের মূল সমস্যা- সুশাসনের অভাব। দীর্ঘদিন থেকে এ সমস্যা চলতে থাকায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। সামগ্রিকভাবে পুঁজিবাজারের প্রতি নেতিবাচক ধারণা রয়েছে দেশের মানুষের।
এখানে সুশাসন কথাটি সামগ্রিক কথা। কেউ অনিয়ম করলো, কারসাজি করলো আর সামান্য পরিমাণ আর্থিক জরিমানা দিয়ে পার পেয়ে গেলো- এভাবে সুশাসন হচ্ছে না। বারবার বিষয়টি প্রমাণিত। সুতরাং অপরাধীকে জেল দিতে না পারলে কার্যকর কিছু সম্ভব নয়। অনিয়মকারীকে কারাগারে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। তাহলে সুফল আসবে বলে আশা করা যায়।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে তত্ত¡বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, সামগ্রিকভাবে বাজারে সুশাসনের অভাব। ফলে দীর্ঘদিন থেকেই একটি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পুঁজিবাজার। তিনি বলেন, সংকট কাটাতে সরকার ও বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। আইন লঙ্ঘন করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীদের বার্তা দিতে হবে- কারসাজির মাধ্যমে কেউ তাদের পুঁজি হাতিয়ে নিলে তার বিচার হবে।
আমরা এই জায়গাটাই জোর দিতে চাই। বলতে চাই সাধারণ বিনিয়েগকারীদের পুঁজির নিরাপত্তা না থাকলে তারা বিনিয়োগে সক্রিয় হবেন কেনো? কোন ভরসায় তারা বাজারের প্রতি আস্থা রাখবেন?
বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সুশাসনের বিকল্প নেই- এই কথা আমরা বহুবার বলেছি। এখন সরকার আর নিয়ন্ত্রক সংস্থাই বলতে পারে পুঁজিবাজারে সুশাসন আর কতদূর।