দুর্যোগ, মন্দা, সংকট চিরকালীন বিষয় নয়। এটি কেবল দেশের পুঁজিবাজার নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও একই রকম। তবে পুঁজিবাজার যেহেতু স্পর্শকাতর একটি ক্ষেত্র, এখানে এটি একটু বেশি সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই এই সময়ে বিনিয়োগকারীদের অন্যান্য বিষয়গুলোর পাশাপাশি ধৈর্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। হুটহাট করে সিদ্ধান্ত নিতে গেলে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি। আর প্রতিনিয়ত ক্ষতি হতে থাকলে পুঁজি ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই ক্ষতি থেকে বাঁচতে হলে ধৈর্যসহকারে, বাজারে গতিবিধি বুঝে লেনদেন করা প্রয়োজন। এটি সম্ভব হলে তুলনামূলক কম ক্ষতি হবে।
এছাড়া যদি পুঁজিবাজার সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান সিদ্ধান্তের ঘাটতি থাকে তা হলে ঊর্ধ্বমুখী বাজারেও অনেক বিনিয়োগকারী লোকসানে পড়তে পারেন। প্রতিনিয়ত যারা পুঁজিবাজারে সক্রিয় থাকেন, তাদের অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হয়। এই অভিজ্ঞতা যদি গঠনমূলকভাবে কাজে লাগানো যায়, তা হলে সাফল্যও পাওয়া সম্ভব। মন্দার বাজারে লোকসান এড়ানোটাই এক ধরনের সাফল্য। বুদ্ধিমান বিনিয়োগকারীরা এটি করতে সক্ষম হন। তাই যত বেশি সম্ভব শেয়ার কেনা বেচার আগে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে অন্যের কথায় নয়, নিজের সঠিক বিবেচনার ওপর নির্ভর করাটাই শ্রেয়।