গত কয়েক মাস আগেও দুই হাজার কোটি টাকার উপরে লেনদেন হয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। সেই লেনদেন বর্তমানে তলানিতে ঠেকেছে। এটি নেমে এসেছে হাজার কোটিরও নিচে। বলা যায় বর্তমান বাজারের লেনদেন চিত্র খুবই হতাশাজনক।
গতকাল রোববার ডিএসইতে সূচকের উত্থানের ধারায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বাড়লেও লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কমেছে।
সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ২৯ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৯৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়া সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৬১ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৬৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
কিন্তু এদিন ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ৮৯৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৪৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারের চলমান অস্থিরতার কারণেই লেনদেন হতশাজনক অবস্থায় নেমে এসেছে। এর থেকে উত্তরণের জন্য দরকার বাজারের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা। একইসঙ্গে বাজার নিয়ে সমন্বয়হীনতাও দূর করা দরকার। বিশেষ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। না হলে বাজার থেকে সংকট দূর করা কঠিন হয়ে পড়বে।