নিজস্ব প্রতিবেদক
পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময় কমলেও বাড়ছে ঋণসুবিধা। এখন থেকে বিনিয়োগকারীরা শেয়ারের বিপরীতে আগের চেয়ে বাড়তি ঋণ নিতে পারবেন।
যতদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭ হাজার পয়েন্টের নিচে থাকবে, তত দিন বিনিয়োগকারীরা ১ অনুপাত শূন্য ৮ শতাংশ হারে ঋণ পাবেন। অর্থাৎ ১০০ টাকার শেয়ার কেনার বিপরীতে সর্বোচ্চ ৮০ টাকা ঋণ পাবেন। বর্তমানে ১০০ টাকার বিপরীতে বিনিয়োগকারীরা সর্বোচ্চ ৫০ টাকা ঋণসুবিধা পান। এখন সেটি বাড়িয়ে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ করা হয়েছে। তবে ডিএসইর প্রধান সূচকটি ৭ হাজার ছাড়িয়ে গেলে ঋণের হার কমে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আজ রোববার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, করোনার কারণে প্রান্তিক ঋণের (মার্জিন ঋণ) হারে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এটি করা হয়েছে। কাল থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
তবে বাজারসংশ্লিষ্ট অনেকে বলছেন পুঁজিবাজারে এখন বড় ধরনের দরপতন চলছে। বাজারে পতন ঠেকাতে ও লেনদেন বাড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে বিনিয়োগকারীরা বেশি ঋণ নিয়ে বাজারে বিনিয়োগের সুযোগ পান। গতকাল রোববারও বাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। তাতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৮২ পয়েন্ট বা প্রায় সাড়ে তিন শতাংশ কমে ৫ হাজার পয়েন্টের কাছাকাছি নেমে এসেছে।
এসএমজে২৪/কা